পেকুয়ায় সেই নারী রহিমা বেগমকে (৪০) কে প্রাণনাশ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দ্রুত সটকে পড়ে প্রাণনাশ চেষ্টা থেকে রক্ষা পান ওই নারী। ২১ আগষ্ট (শুক্রবার) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া টইটং বাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। রহিমা বেগম টইটং বাজারপাড়া গ্রামের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন দুপুরে গৃহবধূ রহিমা বেগম নিজ বাড়ি থেকে সোনাইয়াকাটায় শাশুড় বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পায়ে হেঁেট যাওয়ার সময় পথিমধ্যে টইটং বাজারের পশ্চিম ও দক্ষিন দিকে পন্ডিতপাড়া টইটং বাজার সড়কে তাকে উৎপেতে থাকা ৩/৪ জনের দুবৃর্ত্তরা গতিরোধ করে।
এ সময় তাকে সম্ভ্রমহানি চেষ্টাসহ প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি আঁচ পেয়ে ওই নারী দ্রæত সটকে পড়ে। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে তাকে প্রাণনাশ চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূ পেকুয়ায় গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন। রহিমা বেগম জানায়, আমি নতুনবাড়ি থেকে স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় পৌছছিলাম। আবুল কালাম মেম্বারের ছেলে নুরুল আজিম আমার গতিবিধি পর্যবেক্ষন করছিলেন। ওই দিন ওই বখাটেসহ ৩ জন আমাকে ফের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে। এর আগে নুরুল আজিমসহ বখাটেরা আমার বাড়িতে রাতে ঢুকে পড়ে। তারা আমাকে সম্ভ্রমহানির জোরপূর্বক চেষ্টাও চালায়। আমাকে লাথি মেরে ৩ মাসের ভ্রæণ বিনষ্ট করে। আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম। এখনো রক্তপাত হচ্ছে। আমি আদালতে মামলা করেছি। মামলার এ খবর আসামীরা জেনে গেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন দুপুরে আসামী নুরুল আজিম আমি বাদীকে ফের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। আমি থানায় অবহিত করেছি।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ মৌখিক পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।