কক্সবাজারের পেকুয়ায় আশংকাজনহারে বেড়ে গেছে চুরি চামারী। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও হানা দিচ্ছে চোরের দল। বাদ যাচ্ছেনা পবিত্র মসজিদও। বসতবাড়ি, দোকানে হানা দিয়ে চোরেরদল সর্বস্ব নিয়ে যাচ্ছেন। কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছেনা চুরি চামারী। সম্প্রতি আশংকজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি। বেকার,উঠতি বয়সের যুবক, ও পেশাদার চোরের দল এ কাজে সরাসরি জড়িত রয়েছে। জুয়া,তাজ ও ইয়াবা সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ায় চুরি সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে স্থানীয় ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের জোরালো ভুমিকা রাখার প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন। জানাগেছে,পেকুয়ায় কিছু পেশাদার চোর সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বসতবাড়ি,দোকান, অফিস আদালত,মসজিদ,মোবাইল,মোটর বাইক,ইজিবাইক ও সিএনজি গাড়ি চুরি ও ছিনতাইয়ের মত জঘন্য অপরাধে জড়িত রয়েছে। এদের হাতে বহু লোক, চালক ও যাত্রী আক্রান্ত হচ্ছে। অনেককে খুনও করা হয়েছে। জানা গেছে, শিলখালীতে একটি জামে মসজিদে চুরি সংঘটিত হয়েছে। (৩০আগষ্ট) রবিবার দিবাগত রাতে চোরের দল হানা দিয়ে মিয়াজান সিকদার পাড়া জামে মসজিদের একটি ব্যাটারী,একটি মাইকের ইঞ্জিন ও একটি স্পীকার চুরি করে নিয়ে যায়। মসজিদের ইমাম মৌলভী ফারুক আহমদ জানায়, প্রতিদিনের মত ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে আসি। এ সময় মসজিদের মালামাল এলোমেলো ভাবে ছিটিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে। চোরের দল গভীর রাতে মসজিদের দরজা ভেঙ্গে মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। মুসল্লীদের বিষয়টি অবগত করি। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানে অবগত করা হয়েছে।নামায আদায় করতে আসা মুসল্লীরাও চুরির বিষয়টি দেখেছেন। এ ব্যাপারে তিনি সোমবার পেকুয়া থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গত ১০দিন আগে সদর ইউপির পুর্ব গোয়াখালী রুহুল আমিন প্রকাশ বান্ডুর বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় চোরের দল রাতে বাড়িতে ঢুকে নগদ টাকা, মোবাইল ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। বান্ডুর ছেলে জিয়াবুল বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার একটি হাত কেটে ফেলা হয়েছে। মেডিকেলে ছেলের শয্যাপাশে ছিল বান্ডু ও তার স্ত্রী। এ সুযোগে চোরের দল তার সর্বস্ব নিয়ে গেছে। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানায়, ছোট খাটো কিছু চুরি সংঘটিত হচ্ছে এটা সত্য। চোর সিন্ডিকেটদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। শিলখালীতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।