কক্সবাজারের পেকুয়ায় বনবিভাগের রিজার্ভ জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে দুবৃর্ত্তের হামলায় একই পরিবারের স্কুল ছাত্রসহ ৩ জন জখম হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বৃহষ্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জারুলবুনিয়া সাপেরগারা এলাকার জায়গা জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র আহমদ শফি ও তার ভাই নুরুচ্ছফার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় দুই ভাইয়ের সন্তানদের মধ্যে জারুলবুনিয়া ষ্টেশনে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র নুরুচ্ছফা, তার পুত্র নুরুন্নবী পুতু সহ ৬/৭ জন দুবৃর্ত্ত লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র আহমদ শফি(৪৫), ছেলে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র নুর খান (১৭), ভাই বোরহান উদ্দিন (১৫) আহত হয়। সাপেরগারা সমাজ সর্দার মনছুর আলম জানান, পাহাড়ী জায়গার বিরোধ নিয়ে দুই ভাইয়ের ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। নুরুচ্ছফা প্রভাবখাটিয়ে জায়গা জবর দখল করে রাখে। সম্পত্তি এজাহার মিয়ার ওয়ারিশদের মধ্যে বন্টন করে দিতে আমরা অনেকবার চেষ্টা করি। নুরুচ্ছফা গং গায়ের জোরে কারো কথা কর্ণপাত করেননি।আহত আহমদ শফির ছেলে মোহাম্মদ ছোটন জানান, তারা আমার ২ ভাই ও আমার পিতার উপর আক্রমন করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে দু্ইটি মোবাইল, নগদ ১০ হাজার টাকা, হাতের ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় সাবেক মেম্বার জাফর আলম জানান, পাহাড়ের বনবিভাগের রিজার্ভ ও বসতভিটার জায়গা নিয়ে আহমদ শফি ও তার ভাই নুরুচ্ছফার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। গ্রাম আদালতে বিচার ছিল। কিন্তু নুরুচ্ছফা গং গ্রাম আদালতের বিচার তোয়াক্ক না করে জবর দখলের চেষ্টা করে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নুরুচ্ছফা গং হামলা চালায়। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, কেউ অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।