পেকুয়ায় ২০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। জমির আধিপত্য ও বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমিত করতে পেকুয়া থানার পুলিশ দফায় দফায় ওই স্থান পরিদর্শন করেছে। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত গ্রাম পুলিশ পৌছান ওই স্থানে। গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কাগজপত্র পর্যালোচনা ও জায়গার স্থিতিবস্থা নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে। বিরোধ অমীমাংসিত থাকায় জমির বিরোধ আরও অধিক তীব্রতর হচ্ছে। সম্প্রতি আমন ফসল রোপনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অধিক উত্তপ্ত হচ্ছে। এ দিকে ২০ শতক জমির চাষাবাদ নিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফসলী জমির দখল ও বেদখল নিয়ে বিরোধ অধিক তীব্রতর হচ্ছে। ২০ শতক জমিতে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে দু’বার ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, দিনে জমিতে ফসল রোপিত হয়। রাতে ওই জমিতে চলে তান্ডব। আমন ফসল উৎপাদনের জন্য চলতি মৌসুমে দু’বার ফসল ফলানো হয়েছে। প্রতিপক্ষ রাতে ওই জমিতে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় ২০ শতক জমির কাঁচা রোপা বিনষ্ট করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্র জানায়, বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটায় এবিসি সড়ক সংলগ্ন স্থানে ২০ শতক জমি নিয়ে কাদিমাকাটার মৃত ইসলাম নুরের পুত্র আক্তার হোছাইন, মৃত শফি নুরের ছেলে ইয়াসিন, মৃত বাদশাহ মিয়ার পুত্র ওমর ফারুক গং ও একই ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে ইসলাম নুরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গা নিয়ে সহকারী কমিশন ভূমি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে একাধিক মামলা রুজু আছে। সুত্র জানায়, ওই জমি আক্তার হোছাইন গংদের পূর্ব পুরুষদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি। তারা খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক। সেই হিসেবে জমিটি তারাই ভোগ দখল ও চাষাবাদ করছিলেন। অপরদিকে বারাইয়াকাটার মৃত সিরাজুল হকের পুত্র ইসলাম নুর রেকর্ডীয় মালিকদের অংশ থেকে ২০ শতক জায়গাসহ পৃথক তিনটি দলিল মুলে ৩৬ শতকেরও বেশী জায়গা খরিদ করেন। মোক্তার আহমদ নামক ব্যক্তি ওই জমি ইসলাম নুরকে কবলা দেয়। আক্তার হোছাইন জানান, ইসলাম নুর নি:স্বত্তবান ব্যক্তি থেকে জমি খরিদ করেছে। তার কবলাদারের স্বত্ত আগে বিক্রি হয়ে গেছে। ফোরকান নামক ব্যক্তি ইসলাম নুরের আগে দলিল সম্পাদন করে। ৫৬ শতক জায়গা বুঝিয়ে পাননি দলিল গ্রহীতা। ইসলাম নুর ভূয়া দলিল নিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। অপরদিকে ইসলাম নুর জানান, আমার দলিল সঠিক। এ জমি আমি ভোগ করছি। আমাকে কবলাদাতা এ জমিটি একজনকে বন্ধক দিয়েছিলেন। আমি বন্ধকের টাকা ফেরত দিয়ে জমির দখল পেয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয় সম্পর্কে অবগত। তারা পেশিশক্তি নিয়ে জমি জবর দখল করছে। সকালে চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আক্তার হোছাইন ও ইয়াসিন গং সেটি মানেননি। আক্তার হোছাইন জানান, ইসলাম নুর সরাসরি মাস্তানি করছে। এ ধরনের নিকৃষ্ট আচরন আমরা আর বরদাশত করার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছি। দিনে ফসল রোপন করি। আর রাতে ইসলাম নুর সন্ত্রাসী নিয়ে তান্ডব চালায়।