পেকুয়ায় হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রতিপক্ষের ভাড়াটে ৩০/৪০ জনের দুবৃর্ত্তরা জমিতে হানা দেয়। এ সময় জমিতে রোপিত ধানের চারা বিনষ্ট করে দেয়। ঘটনার জের ধরে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মৌলভীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার আহমদ নবীর পুত্র নুরুন্নবী (৩২), শামশুল আলমের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬০), আহমদ নবীর পুত্র মো: শাকের (৪০)। স্থানীয় সুত্র জানায়, ৫৫ শতক জমি নিয়ে মৌলভীপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে গোলামুর রহমান ও একই ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া মৃত বাদশাহ মিয়ার পুত্র জাকের হোসেন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বন্দোবস্তীমূলে সরকার গোলামুর রহমান গংদের দলিল হস্তান্তর করেন। ওই জমি তারা ভোগ দখলে থেকে জমাভাগও সৃজন করে। চলতি বর্ষা মৌসুমে গোলামুর রহমান, আহমদ নবীর পুত্র মো: শাকের ও নুরুন্নবী গং জমিতে আমন ফসল ফলান। এ ছাড়া স্বল্প পরিমাণ জমিতে পেঁপে চাষ ও বিভিন্ন শাক সবজি ফলায়। ঘটনার দিন দুপুরে মাঝেরঘোনার মৃত বাদশাহ মিয়ার পুত্র জাকেরের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের দুবৃর্ত্তরা লাঠি সোটা নিয়ে বিরোধীয় জমিতে হানা দেয়। এ সময় ফসলী জমির ধানের চারা বিনষ্ট করে ফেলে। পেঁপে বাগান সাবাড় করে। এমনকি ঘেরা বেড়ায় ভাংচুর চালায়। গোলামুর রহমান জানান, রাজাখালী থেকে লোকজন টইটংয়ে আনে। কইড়ারপাড়া ও ধনিয়াকাটা থেকেও ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে জাকের আহমদ গং আমাদের উপর হামলা ও ভাংচুর চালায়। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।