পেকুয়ায় দিন দুপুরে দুবৃর্ত্তরা দিল বাড়িটি গুড়িয়ে। ৫ মাস আগে মালিককে কুপিয়ে মাথায় জখম করে। জখমী ব্যক্তি পেকুয়া থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহার পৌছান। ৮ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ছিলেন পাঞ্জা। বিরোধ নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। বিরোধীয় জায়গায় অনুপ্রবেশ না করবেন মর্মে অঙ্গীকার দেন হামলাকারীরা। এমনকি চিকিৎসায় ব্যয়িত অর্থ জখমী ব্যক্তিকে দেয়ার শর্ত সাপক্ষে লিখিত অঙ্গীকার করেন। দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতাও চুড়ান্ত হয়েছে।
এ দিকে এর কয়েক মাসের ব্যবধানে হামলাকারীরা ফের জখমী ব্যক্তির বসতবাড়িতে হানা দেয়। এর সুত্র ধরে দিন দুপুরে বসতবাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ছনখোলার জুম গ্রামে ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্র জানায়, পৈত্রিক জায়গা নিয়ে ছনখোলারজুম গ্রামে মৃত মনজুর আলমের ছেলে বেলাল উদ্দিন ও তার আপন চাচা মৃত রশিদ আহমদের পুত্র জামাল হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
২০১৬ সালে টইটং ইউপির গ্রাম আদালত পৈত্রিক অংশ পরিমাপসহ বেলাল উদ্দিনকে বুঝিয়ে দিয়েছিল। সে সময় থেকে বেলাল উদ্দিন ওই জায়গা রক্ষনাবেক্ষন করছিলেন। রিজার্ভ জায়গাটি একক কুক্ষিগত করতে বেলাল উদ্দিনের চাচা জামাল হোসেন পেশি শক্তির বলয় সৃষ্টি করে। বেলাল উদ্দিনকে ভীতি ও হুমকি দিয়ে জায়গা থেকে বিতাড়িত করার কুমানসে লিপ্ত ছিল। গত ৫ মাস আগে বেলাল উদ্দিন তার প্রাপ্ত অংশে বসতবাড়ি নির্মাণ করে। এ সময় জামাল হোসেন গং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে।
ঘটনার দিন সকালে জামাল হোসেনসহ তার অনুগত ১০/১৫ জনের ধারালো অস্ত্রধারী দুবৃর্ত্তরা বেলাল উদ্দিনের বসতবাড়িতে আক্রমণ চালায়। এ সময় নগদ টাকা, মালামাল লুটসহ বসতবাড়িটি সম্পূর্ণ গুড়িয়ে ফেলে। বেলাল উদ্দিন জানান, আমার বাড়িটি মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে লুটপাটও চালানো হয়। এর আগে আমাকে কুপিয়ে জখম করে।
কবির সওদাগর, ফরিদ মাঝি,আনোয়ার হোসেন শুভ, আবু জাফরসহ আরো অনেকে জানান, জায়গাটি বেলাল উদ্দিনের। আমরা বসে চাচা ভাতিজার প্রাপ্ত অংশ নিস্পত্তি করেছি। এটি দুর্বলের উপর সবলের চরম অত্যাচার। টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন জানান, জামাল হোসেন বেলালকে লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছে। আর অন্যায় করবেনা। বিষয়টি আমি শুনেছি। বেলাল অত্যন্ত নিরীহ। পিতার অংশটুকু ভোগ করার অধিকারতো তার আছে।