কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে চাঁদা না দেওয়ায় মো. মোস্তফা (৪৫) নামে এক চটপটি ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি গোলাম সত্তারের বিরুদ্ধে। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন চটপটি ব্যবসায়ীর ছেলে মো. রাকিব (১৮)। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। মারধরের শিকার মোস্তফা ভোলা জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশ্যা ইউনিয়নের আবদুল বারেকের ছেলে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে হারবাং স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত চটপটি ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, গত ২০ দিন আগে ভ্যানগাড়ি করে হারবাং স্টেশন এলাকায় চটপটি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কয়েকদিন পরে স্থাণীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি গোলাম সত্তারের গোলাম সত্তার এসে আমাকে বলেন মাসিক এক হাজার টাকা করে চাঁদা না দিলে এখানে ব্যবসা করা যাবেনা। তার দাবীর প্রেক্ষিতে প্রথম দিন আমি দুইশত টাকা দিই। অবশিষ্ট টাকা ২ অক্টোবর দেয়ার কথা ছিল। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আমি ব্যবসা শেষে বাড়ি ফেরার সময় ইউপি সদস্য সত্তার মাতাল অবস্থায় এসে আমার কাছ থেকে চাঁদার টাকা দাবী করেন। এ সময় আমি সারা দিনে বিক্রিত ৫শত টাকা তাকে দিতে চাইলে সে আমাকে গাছের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পেঠাতে শুরু করে। এসময় আমার ছেলে রাকিব এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন তিনি। এক পর্যায়ে আমার ভ্যানগাড়িসহ মালামাল রাস্তার পাশে উল্টিয়ে দেন তিনি।
চটপটি ব্যবসায়ী মোস্তফা আরো বলেন, লকডাউন শুরুর এক সপ্তাহ আগে ভোলা থেকে এসে পরিবার পরিজন নিয়ে বরইতলী এলাকায় একটি বাসা বাড়া করে থাকি। প্রথমে কিছুদিন ওখানে ব্যবসা করলেও ২০দিন আগে জায়গা বদল করে হারবাং স্টেশন এলাকায় চলে আসি। আমার ব্যবসার পুঁজি ও ভ্যান গাড়ি নষ্ট করে দেয়ায় ৬ জনের পরিবার নিয়ে এখন আমার কি করবো তা ভেবে পাচ্ছিনা।
অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি সদস্য গোলাম সত্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাজার কমিটির সভাপতি। খোলা বাজারে দোকান করতে চটপটি ব্যবসায়ীর সাথে আমার সাথে মাসিক আটশত টাকা ভাড়ার কথা হয়। আগে দুই শত টাকা দিলেও বাকি ৬ শত টাকা চাইতে গেলে তার সাথে আমার একটু কথা কাটাকাটি হয়। তবে বাজারটি ইজারাভুক্ত নয় বলেও তিনি জানান। ##