পেকুয়ায় স্বামীর মাথা ফেটে দিল স্ত্রী। ভাইকে মামলায় ফাঁসাতে স্ত্রী স্বামীকে নিয়ে এ কান্ড সংঘটিত করেছে। স্থানীয়রা জখমী ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে জখমী ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর বেলা ১ টার দিকে সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্র জানায়, পৈত্রিক বসতভিটার বন্টন নিয়ে বাইম্যাখালী গ্রামে মৃত বরকত আলীর ছেলে মো: আজিজুর রহমান ও ছোট ভাই আবদুল হামিদ সিকদারের মধ্যে বনিবনা চলছিল। এদের বসতভিটার উপর দিয়ে পেট্রোবাংলা গ্যাস সঞ্চালন লাইন বাস্তবায়ন করে। এর আগে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজু, দু’ভাইয়ের বিরোধ নিস্পত্তি করেছিলেন। বসতভিটার সীমারেখাও নির্দিষ্ট করেন। ঘটনার দিন দুপুরে বরকত আলীর ছেলে আজিজুর রহমান ও তার ছোট ভাই আবদুল হামিদ সিকদারের মধ্যে বচসা হচ্ছিল। এর সুত্র ধরে বড় ভাই আজিজুর রহমানের স্ত্রী সোলেমান কেহী লাঠি নিয়ে দেবরের দিকে ধেয়ে আসে। এ সময় ওই নারী লাঠি দিয়ে দেবর আবদুল হামিদ সিকদারকে পিটিয়ে জখম করে। এমনকি বসতবাড়ির বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল গাছ কেটে সাবাড় করে। আবদুল হামিদের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন শাক সবজির ক্ষেত ছিড়ে ফেলে। ঘিরা বেড়াও ভাংচুর চালায়। স্বামী আজিজুর রহমান ছোট ভাইয়ের প্রতি স্ত্রীর এমন আচরনে ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত স্ত্রী দা নিয়ে নিজ স্বামীকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। প্রত্যক্ষদর্শী মুন্সী শাহ আলমের ছেলে বখতেয়ার উদ্দিন জানান, আজিজুর রহমানের স্ত্রীর আচরন দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। ভাইয়ে ভাইয়ে গন্ডগোল। সেখানে একজন নারী যে ভাবে লাঠি সোটা ও দা নিয়ে আক্রমন করছিলেন আমরা দেখে অবাক হয়েছি। এর আগে জায়গার বিরোধ নিস্পত্তি হয়েছে। সার্ভেয়ার জায়গা পরিমাপ করে তিন ভাইয়ের বন্টন নিস্পত্তি করেন। উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান রাজুও বিচারক ছিলেন। মূলত আজিজুল হকের স্ত্রীর কারনে জখমী ঘটনা হয়েছে। মাহাবুল আলম, মৌলভী ফরিদ, আরফাতসহ অনেকে জানান, ছোট ভাই আবদুল হামিদের কোন দোষ ছিলনা। আমরা দেখেছি আজিজুর রহমানের স্ত্রীর কারনে ঘটনাটি লম্বা হয়ে গেছে।