চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘকাল ধরে জুনিয়র কনসালটেন্ড (শিশু) হিসেবে দায়িত্বে থাকা ডাঃ মোঃ খালেদ হোসেনের বিরুদ্ধে নিজের পছন্দের ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সমুহ করাতে রুগিদের বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভুগী রুগিরা।
চকরিয়া সরকারী হাসপাতালের ডাঃ মোঃ খালেদ হোসেন সরকারী অফিস টাইম (৯টা-২টা) এর পরে, সরকারী হাসপাতাল সংলগ্ন একটি প্রাইভেট ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ৬০০ টাকা ফিঃ নিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন পর্যন্ত রুগী দেখেন। এই বিশাল অংকের ইনকামেও তিনি সন্তুষ্ট নন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারী রুগীরা বলেন, সরকারী হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্সেরা রুগীদেরকে ডাক্তারের কথামতো ওনার পছন্দের ল্যাবে পাঠিয়ে বলেন, ঐ ল্যাব থেকে পরীক্ষা না করালে স্যার ওই রিপোর্ট দেখবেনা, উল্টো স্যার আরও রেগে যাবেন। ডাক্তার সাহেব রেগে যাবেন এই ভয়ে রুগীরা বাধ্য হয়ে ওই ল্যাব থেকে পরীক্ষা করান বলে জানান। এতে ডাক্তার সাহেব বিরাট অংকের কমিশন পান বলেও জানান ভুক্তভুগীরা।
চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, ডাঃ খালেদ স্যার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ওনি যে ল্যাবে বসে চেম্বার করেন, ওই ল্যাব থেকেই যেন ওনার রুগীরা পরীক্ষা গুলো করায়, অন্যতায় স্যার রিপোর্ট গুলো দেখবেন না এবং রুগিদেরও যথাযথ মূল্যায়ন করবেন না বলে জানান। সচেতন মহলের অভিমত, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘকাল ধরে বদলীবিহীন দায়িত্বে থাকার কারণে ধরাকে সরাজ্ঞান ভেবে সরকারি নিয়মের বাহিরে দিব্যি এসব কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন। সকল চিকিৎসক বদলী হলেও তিনি তদ্বির চালিয়ে দীর্ঘকাল স্বপদে বহাল রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ মোঃ খালেদ হোসেন বলেন, চকরিয়াতে যত গুলো ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আছে, তার ভিতরে কোনটি ভালো রিপোর্ট করে আপনারা ভালোই জানেন। চকরিয়াতে ৪০/৫০ জন দালাল সক্রিয়ভাবে রুগীদের বিভ্রান্ত করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি কাউকে নির্দিষ্ট ল্যাবে পরীক্ষা করাতে বলি না।
সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার যদি ল্যাবের কমিশনের জন্যে রুগীদের এমন হয়রানী করে থাকেন, তা দুঃখজনক উল্লেখ করে স্থানীয় সচেতন মহল বিষয়টি নজরে আনতে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ও সিভিল সার্জন কক্সবাজার এর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।