বিশেষ প্রতিনিধি, চকরিয়া, কক্সবাজারঃ
চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড উচিতার বিল গ্রামে ৪ একর (১০ কানি) জমির পাকা ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এধরনের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভুগী পরিবার।
অভিযোগে জানাগেছে, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড উচিতারবিল গ্রামে বনবিভাগের বিএস ২নং খতিয়ানভূক্ত ভিলেজারি জমিতে দীর্ঘ ৫০/৬০বছর ধরে বসবাস ও চাষাবাদ করে আসছেন ভিলেজার মৃত হাজী মোহাম্মদ হোছাইনের চার সন্তান। কিন্তু বিগত ২০১৬ সালে মোঃ হোসেনের মৃত্যুর পর তাদের অপরাপর আত্মীয়রা তাদের জমি আছে দাবি করে, জমিতে চাষাবাদে বাধা প্রদান করলেই শুরু হয় বিরোধ। ভোগদখল মালিক পক্ষ মৃত মোঃ হোছনের পুত্র আবু নছর গংয়ের মধ্যে বিএস খতিয়ান নং ২, দাগ নং ৪৫৬এর প্রায় ৪ একর চাষাবাদী ধান্য জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন বিরোধীয় পক্ষ সেকান্দরের পুত্র জহির আহমদ গং । ওই মামলাটি পরিষদ থেকে মিচ মামলা করে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত কক্সবাজার আদালতে ট্রান্সফার মিচ মামলা নং ১২২/২০ দায়ের করেন মৃত মোঃ হোছনের পুত্র আবু নছর গং। তিনি এরপর কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা নং ৬১২/২০দায়ের করেন। আদালতে দুইটি মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তদের নিজ আবাদী ও দখলীয় জমিতে রুপিত পাকাধান কাটতে গেলেই আবারও বাধা প্রদান করেন জহির আহমদ, আবুল কালাম, ওসমান গনি, মোঃ হোসেন, মাহমুদুল করিম সহ কয়েক জন সন্ত্রাসীরা। এনিয়ে গত ৭ অক্টোবর২০২০ তারিখে সেকান্দরের পুত্র জহির আহমদ, আবদুল কাদেরের পুত্র আবুল কালাম, মৃত মফজল আহমদের পুত্র ওসমান গনি, মোঃ আলীর পুত্র মোঃ হোছন, মোঃ পেঠানের পুত্র মোছাব্বের হোসেন, আলী আহমদের পুত্র মাহমুদুল করিম ও মোঃ কালুর পুত্র আক্কাছ আহমদ সহ ৭ জন কে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগটি থানায় সাধারণ ডায়রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন (নং ৩৩৯/২০) এবং তদন্তের জন্যে এ এস আই মাসুদ রানা কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। চকরিয়া থানার নন এফআইআর নং ১১৬/২০ এর প্রতিবেদনে জহির আহমদ গংদের দোষী হিসেবে প্রতিবেন দিয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করিলে, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চকরিয়া, ৯/১১/২০২০ তারিখের এক আদেশে বাদী আবু নছর গং দের পাকাধান কর্তন করার সময় আইনসৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওসি চকরিয়া কে অনুরুদ করেন।
উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ১০/১১/২০২০ তারিখে জহির আহমদ গং একই আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তফসিলোক্ত জমিতে ধান কাটতে গেলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে মর্মে অবহিত করিলে, আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাটাধান স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় প্রদানের আদেশ দেন। এই আইনি জটিলতায় ৪ একর ধানী জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত ৪ একর পাকা ধানের মধ্যে মাত্র ১০ শতক জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকী ৩ একর ৯০ শতক জমির ফসল জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে ফসল গুলো নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যথাযত কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভুগী পরিবার।