চকরিয়া কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
চুনতি রেঞ্জের অধীনে বরইতলী বিট অফিসের “বন মালী” মোঃ কাইছার ও বিট বন কর্মকর্তা প্রদীপ কুমারের যোগসাজশে, সরকারী বন ভূমি থেকে ভিলেজারদের উচ্ছেদ করে, অবৈধ টাকার বিনিময়ে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মন রক্ষার্থে, ভুমিদস্যুদের বাড়ি তৈরীর সুযোগ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছে- ভুক্তভুগী ভিলেজার জালাল উদ্দিন ও তার পরিবার।
অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর ধরে বন ভূমি এএবং সরকারী বাগান পাহারা ও রক্ষনা-বেক্ষণ করে আসছেন বন বিভাগের ভিলেজার জালাল উদ্দিন ও তার পরিবার। জালাল উদ্দিনের ভোগদখলীয় যায়গায় সৃজিত বাগানের গাছ গুলো বড় হলেই, লোলোপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় কিছু কুচক্রী ও ভূমিদস্যুদের।
গত নভেম্বর মাসে স্থানীয় মোফাচ্ছের আলী গং জালালের বাগান দখলে নিতে দফায় দফায় জালাল ও তার বোন শামসুননাহার কে মারধর করে মারাত্মক ভাবে জখম করে এবং বাগান থেকে তাডিয়ে দেয়। শামসুননাহারের আঘাত ঘোরতর হলে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। এবিষয়ে শামসুননাহার বাদী হয়ে, মোফাচ্ছের কে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে, বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় সিআর মামলা নং ১০১২/২০২০ দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরইতলী বিট বন কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ কে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালতের নির্দেশনায় বিট অফিসার প্রদীপ কুমার মামলার বাদী শামসুননাহারের পক্ষে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলেও, প্রকৃত পক্ষে বন মালী কাইছারের সহযোগিতায় ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে, সরকারী বন বিভাগের যায়গা থেকে ভিলেজারদের উচ্ছেদ করে, ভূমিদস্যুদের বাড়ি ঘর তৈরী করতে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভুগী ভিলেজার জালাল উদ্দিন।
মোফাচ্ছের হোসেন কি মুলে পাহাড়ি বন ভূমিতে ঘর তৈরী করেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে, সে বলেন, আমি বিট অফিসার ও স্থানীয় লিডার কে ম্যানেজ করে এখানে ঘর তৈরী করতেছি।
এ বিষয়ে বরইতলী বন বিট কর্মকর্তা প্রদীপ কুমারের সাথে দেখাকরতে ওনার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সরকারী অফিস টাইমে গেইটে বিশাল তালা ঝুলানো। মুটোফোনে বক্তব্য নিতে চাইলে, ওনি আদালতে মামলা চলমান বলে বক্তব্য দিতে রাজি না হয়ে ফোন রেখেদেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তার মুটোফোনে যোগাযোগ করিলে, ওনি আদালতে আছেন এই ব্যাস্থতায় বক্তব্য দিতে রাজি হন নি।
এ বিষয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভুগী জালাল উদ্দিন ও তার পরিবার।