চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রাজার বিল (রাজার ডেইল) মসজিদ ও মাদরাসার নামে ওয়াকফ্কৃত জায়গা প্রভাবশালী কর্তৃক জোরপূর্বক দখল এবং স্থাপনা নির্মাণ করা নিয়ে আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের নোটিশ প্রদানসহ স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধে নির্দেশ দিয়ে চলে আসছিল।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ অবস্থায় অভিযোগকারী পক্ষের লোকজনের ওপর বেপরোয়া সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে দখলবাজ-সন্ত্রাসীরা। হামলায় মসজিদ-মাদরাসার মতোওয়াল্লি ও জমি ওয়াকফ্কারী ৮০ বছরের এক বৃদ্ধসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল।
মসজিদের মতোয়াল্লী মৌঃ মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে হাবিবুল করিম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।
প্রতিকার চেয়ে অদ্য ২ জানুয়ারী নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মৌঃ রুহুল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন-
আমাদের পিতা: মৌ: আলী হোসাইন এই অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন আলেম হন। ওনি বিগত ১৯৬৭ সনে ওনার ক্রয়কৃত জমি থেকে ৫৩ শতক জমি রাজারডেইল “ডেইল পাড়া জামে মসজিদের” নামে দান করেন। পরবর্তীতে রাজারবিল, ডেইল পাড়া জামে মসজিদের নামে মসজিদের পক্ষে মোতওয়াল্লী হিসেবে মো আলী হোছাইন নামে ১০/১ নং খতিয়ান প্রচার রয়েছে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত জায়গায় মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে পরিচালনা করে আসছেন। কিছুদিন পূর্বে উক্ত জায়গায় স্থানীয় কিছু কু-চক্রী মহল জায়গাটি দখলে নেওয়ার জন্য হামলা/মামলা করে আসছে। এই কু-চক্রী মহলের নেতৃত্বে রয়েছে ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক গঁঢ় আবুল হাসেম (প্রকাশ ধান বিয়ারী হাসেম)। সন্ত্রাসীরা মসজিদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা (তামাক পাতার টন্ডুল) ও ঘরবাড়ি করে দখলে নিয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে আমরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে এম.আর মামলা নং ৬৪/২০২০ দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি চকরিয়াকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন এবং উক্ত জায়গায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য অফিসার ইনচার্জ চকরিয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা মতে তদন্ত প্রতিবেদনে আমার পিতার প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও মাদ্রাসার অবস্থান আছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং উক্ত জায়াগায় শান্তি শৃংখলা বিগ্নঘটার আশংকা রয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৪ ডিসেম্বর শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানা থেকে একদল পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে যাওয়ার পর পরেই আবুল হাসেমের নেতৃত্বে তার ছেলে খাইরুল, ভাই নুরুল আমিন, নুরুল আজিম, স্থানীয় চৌকিদার ফরিদ, শাহা আলম, বাবুল, হাসান, নেজাম উদ্দিন, শরিফ উদ্দিন (বরমাইয়া শরিফ) সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী মিলে আমার পিতা আলহাজ্ব মৌলানা আলী হোছাইন (৮০) ও আমি সহ আমার ৪ ভাইদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে মারাত্বক ভাবে আহত করে।
পরর্বতীতে আমার ভাই হাবিবুল করিম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী আবুল হাসেম সহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করি।
এমতাবস্থায় আমি ও আমার ভাই রুহুল কাদের, শহিদুল ইসলাম, ও রেজাউল করিম সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসী ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করত: প্রশাসনের নিকট সু-বিচার প্রার্থনা করিতেছি।