বার্তা প্রধান বিবিসি একাত্তর
চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মারুফ এর টাইমলাইন থেকে …….
“আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয়,পেইজবুক বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমি মোহাম্মদ মারুফ,
সভাপতি,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,চকরিয়া উপজেলা শাখা।
আমি পালাকাটা দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করার পর,চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, এ ইংলিশ এ ডাবল মাস্টার্স করার লক্ষ্যে অধ্যায়নরত অবস্থায় ২০১৬ সালের লাস্টের দিকে এসে চকরিয়া ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন এর লক্ষ্যে চকরিয়াতে ফুলটাইম ছাত্ররাজনীতির একজন কর্মী হিসেবে নিয়মিত ছাত্রলীগের মিটিং,মিছিল,সমাবেশ করে আসছিলাম।বলে রাখা ভাল তার পূর্বেই আমি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক কর্মী হিসেবে ২০০৬ সাল থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন সহক পোস্টে থেকে ওয়ার্ড,ইউনিয়ন, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম।
২০১৮ সালের জুলাই মাসের ৩১ তারিখ কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি /সম্পাদক আমাকে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পবিত্র দায়িত্ব অর্পন করেন।
২০১৬ থেকে প্রাই পাঁচ বছরের কাছাকাছি সময় একটানা চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছি শুধুমাত্র এই জনপদের ছাত্রলীগকে ইতিবাচক ধারায় শক্তিশালী ভাবে গড়ে তুলতে।
এই পাঁচ বছরে আল্লাহর রহমতে চাঁদাবাজি,দখলবাজি,মাদক চোরাচালান ও অবৈধ ব্যবসার কালিমা চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীদের গায়ে লেপন করতে দিইনি।
প্রয়োজনে সময়ে অসময়ে আমার নেতাকর্মীদের সহ না খেয়ে থেকেছি তবুও কখনো টাকার জন্য ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট হতে দিইনি।
কেউ আমার নামে বিয়াদবি,অশালীন আচরন,নিয়ম বহির্ভূত চলাফেরা ও ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বাড়তি সুভিধে নিয়েছি এইরকম অভিযোগ ও দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন প্রতিটা ইউনিয়ন এই কমিটি গঠন করার সুযোগ হয়েছে।
অনেকগুলোই বড় বড় সফল প্রোগ্রাম করেছি যা অতীতের ছেয়ে প্রশংসনীয় ছিলো।
এবং নিয়মিত জাতীয় ও দলীয় সকল প্রোগ্রাম এ অংশগ্রহণ করেছি আল্লাহর রহমতে।
চেষ্টা করেছি দখল,চাঁদাবাজি অবৈধ ব্যবসা এসব না করেও ছাত্রলীগকে উপজেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া যায় সেটা বুঝানোর আমার সহযোদ্ধা ও কর্মীদের।
কিন্তু দুঃখ একটাই চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের অনেকগুলো নেতাকর্মী বিগত ১২/১৩ বছর থেকে শুধুই ছাত্রলীগ কে দিয়ে যায় বিনিময়ে তারা একটা ছাত্রলীগের পরিচয় ও পায় না,আংশিক কমিটি হয় কিন্তু সেই কমিটি পুর্নাঙ্গ রুপ পায় না।
কর্মিদের চেহারার দিকে আমরা তাকাতে পারি না একটা চাপা কষ্টে।
আমি সভাপতি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ বরাবর একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা করছিলাম সেটাও হতে হতে হলোনা।
বর্তমান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৃণমূল এর নেতাকর্মীদের আশার বাতিঘর প্রিয়নেতা সাদ্দাম হোসেন ভাই ও সাধারণ সম্পাদক,পরিচ্ছন্ন ও মেধাবী ছাত্রনেতা প্রিয় ভাই মারুফ আদনান বরাবর আমরা আবারও একবুক আশা নিয়ে লিখিত ভাবে ও মৌখিক ভাবে বলেছি একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে উনারা আমাদের যতেষ্ট আশ্বস্ত করেছেন।
আশাকরি তৃণমূল এর কর্মীদের উনারা হতাশ করবেন না।
আমি চায় না পোস্ট পদবি নিয়ে সারাজীবন বসে থাকতে। পুর্নাঙ্গ কমিটি টা পেলে ওই কমিটির সবাইকে সাথে নিয়ে একটা সম্মেলনের মাধ্যমে যথাশিগ্রী বিদায় নিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ সুগম করে দিতে চাই।
পরিশেষে সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন সেই কামনাই রইলো।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।“