চকরিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত মহিলা মেম্বার ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরছ খাতুন কুমিল্লায় ষড়যন্ত্রমূলক কথিত মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার পরবর্তী জামিন পেয়ে নিজ বাড়িতে আসলে, তার সমর্থক ও এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ প্রথমে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করে। গতকাল ২ মার্চ বিকেল ৪টায় মহিলা মেম্বারের ঢেমুশিয়া ছয়কুড়িটিক্কা গ্রামের বাড়িতে মিথ্যে মামলায় আরছ খাতুনের মানহানীর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। ঘটনার বিস্তারিতঃ
গত ২২ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার উপজেলায় মিথ্যা স্বর্ণ চুরির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয় আরজ খাতুন। তিনি বলেন, ঢেমুশিয়া ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকুর সাথে কুমিল্লার কয়েকজন লোক ফোনে আলাপ করলে, চেয়ারম্যান আরছ খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে মিথ্যে অভিযোগ তুলে ধরেন। ঐ সময় পুলিশ বলেছিলো, চেয়ারম্যান তাকে সমর্থন করলে মূহুর্তে ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান, পুলিশ ও ঐ এলাকার বিভিন্ন জনকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। তিনি বলেন, যে দোকানে স্বর্ণ চুরির অভিযোগ আনা হয় সে দোকানদারকে আদালত তলব করলে তিনি সাখানে যাননি। তিনদিন কারাভোগের পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এসময় পুলিশ ও দোকানদার আদালতে কোনরূপ সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি। আজ চকরিয়া ঢেমুশিয়ায় নিজ বাড়ীতে আসলে এলাকাবাসী তাদের প্রিয় মহিলা মেম্বার আরছ খাতুনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করে। এলাকাবাসী অবিলম্বে ষড়যন্ত্রকারী ঢেমুশিয়া ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকুর বিচার দাবী করে চকরিয়া- পেকুয়ার এমপি জাফর আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আরছ খাতুন বলেন, তাকে তার পরিষদের চেয়ারম্যান জিকু’ই ষড়যন্ত্র করে ফাঁদে ফেলেছে। তিনি কুমিল্লায় তার মেয়ের শশুর বাড়ীতে বেড়াতে যান বলে জানান। তিনি জানান, তার বিয়াইনের ক্রয় করা স্বর্ণ ভেজাল হওয়ায় পুনরায় বদল করতে স্বর্ণের দোকানে গেলে দোকানদার ও নেপথ্যে থাকা লোকজন তাকে ও তার অপর দুই আত্মীয়কে পাঁকড়াও করে চরম মানহানি করে পরে পুলিশকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সোপর্দ করে দেন। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি এলাকার পর পর দুইবারের মেম্বার ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে দেখায় বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান, তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। এমনকি সম্প্রতি সময়ে এলাকাবাসী আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার কথা বললে তা এলাকায় ভাইরাল হয়ে যায়। যা থেকে ওই চেয়ারম্যান জিকু আমাকে কীভাবে হেনস্তা করা যায় তাই করে চলেছে।