কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বিভ্রান্তিমুলক তথ্য ছড়িয়ে দলের ভাবমূর্তি ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ কাননের বিরুদ্ধে।
কানন পশ্চিম কোনাখালী টেকপাড়া এলাকার মৎস্যজীবি মোঃ জাকারিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ কানন। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে চলে যান। তবে সম্প্রতি তিনি এলাকায় ফিরে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ছাড়াও সমন্বয়ক হিসেবে জাহির করে সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি শুরু করেন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার জন্য অখ্যাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নামে তৈরি করেন ভুয়া পরিচয়পত্র। এতেও তার শেষ রক্ষা হয়নি; সাম্প্রতিক কথিত সেই সমন্বয়ক ও ভুয়া সাংবাদিক কাননকে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক হয়ে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন চকরিয়া থানা পুলিশ। দীর্ঘ দেড় মাস কারাভোগের পর গত কয়েকদিন আগে জেল থেকে ফিরে এসে আবারও চরমভাবে শুরু করেন চাঁদাবাজি। তার বেপরোয়া চাঁদাবাজির বিষয়ে মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা বিএনপির কয়েকজন নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ায় তাদের চরিত্র হননের অভিযোগও উঠছে কাননের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে কোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ আবুল কালাম ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা কানন বিএনপি নেতাদের মান ক্ষুণ্ণ করতে ফেসবুকে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করে পোস্ট দিচ্ছে। গত ২০ অক্টোবর ছাত্রদলের কর্মীসভায় কোনধরনের ঘটনা ঘটেনি। সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করেছে বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আপন বাংলা ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেছে। এতে ছাত্রদলসহ বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ছাড়াও গত কয়েকদিন আগে মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা ও কোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা দলের ক্লীনইমেজের প্রার্থী ইমরুল হাসান হান্নান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে দলের মান ক্ষুন্নের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনপির এই দুই নেতা প্রশ্নের সুরে বলেন ছত্রলীগ নেতা কাননকে আশ্রয়-পশ্রয় দেওয়া কে সেই আপন বাংলা নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক? জাতির কাছে তা ক্লিয়ার হওয়া দরকার।
মাতামুহুরি সাংগঠনিক থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল হাসান হান্নান বলেন, কানন নামের ছেলেটি একসময় ছাত্রলীগ করতো। বিগত সরকার পতনের পরে সে সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করেছে,এমনকি ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়ে চাঁদাবাজি মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে এসে পূনরায় এলাকায় এসে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। তার এসব কর্মকান্ড জনসম্মুখে প্রকাশ পাওয়ায় আমাদের দলের বিরুদ্ধে সে অবস্থান নিয়েছে। আমি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, কানন নামের ছেলেটি জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও চাঁদাবাজি কিংবা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##