কক্সবাজারের চকরিয়ায় ধীর গতিতে চলা ইজিবাইককে সাইড দেওয়ার জন্য হর্ন দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে এক পথচারীর নেতৃত্বে ৭ ব্যক্তি বিয়ে অনুষ্ঠানের যাত্রীবোঝাই একটি টিআরএক্স নোহা গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। শুক্রবার বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে চকরিয়া–মহেশখালী সড়কের সাহারবিল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজঘোনা স্টেশনের কাছে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় আক্রান্ত গাড়ির মালিক চকরিয়ার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষ্যারচর ছিকলঘাট এলাকার নজির আহমদের ছেলে মুবিনুল হক মুন্না বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
থানায় জমা দেওয়া এজাহারে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ রিয়াদ (৩২)। তিনি সাহারবিল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজঘোনা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে। এজাহারে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে ৭ জনকে।
ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিক মুবিনুল হক মুন্না জানান, তার টিআরএক্স নোহা গাড়িটির চালক এহেছানুল হক বিয়ের এনগেজমেন্টে যাওয়ার জন্য ১২ জন যাত্রী নিয়ে বাটাখালী জিপ স্টেশন থেকে রওনা হয়। গাড়িটি মাইজঘোনা স্টেশনে পৌঁছলে সামনে থাকা দুটি ইজিবাইক (টমটম) খুব ধীরগতিতে চলছিল। এই অবস্থায় নোয়া গাড়ির চালক সাইড নিতে হর্ন বাজায়। এতে হর্নের শব্দে ক্ষুব্ধ হয়ে পথচারী রিয়াদ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিল। সেই গালিগালাজের প্রতিবাদ করছিল নোয়ার ভেতর থাকা যাত্রীরা। তখনই পথচারী রিয়াদ নোয়া গাড়ির গতিরোধ করে মোবাইলে তার সঙ্গীদের দ্রুত ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। একপর্যায়ে তারা সদলবলে স্টিলের এসএস পাইপ দিয়ে নোয়া গাড়ির চারদিকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এর আগে এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় চালক এহেছানকে কিল–ঘুষি মেরে আহত করা হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, এই ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে আক্রান্ত গাড়িটিও। ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।